আসামী পলাতক বা ফেরারী থাকলে আদালতে হাজির করা না গেলে তখন আদালত পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে?

পলাতক আসামী
উত্তর: আসামী পলাতক থাকলে আদালতে হাজির করা না গেলে তখন আদলত পলাতক আসামিকে আদালতে অত্নসমপর্ণে বাধ্য করার  জন্য নিন্ম লিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ  করতে পারে।
  1. ফেীজদারী কার্যবিধি আইনের 68 ধারা ও পি আর বি 471(ঘ) বিধি মতে আদালত পলাতক আসামিকে কোর্টে নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ের হাজির হবার জন্য সমন ‍ইস্যু করতে পারে।
  2. সমন জারিরর পর আসামি যদি আালতে হাজির না হয় সে ক্ষেত্রে আদালত ফৌজদারী কাযবিধি  আইনের 75 ধারা ,পিআরবি-468 বিধি মতে অডাসামির নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করতে পারে।
  3. গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করার পরও যদি আসামি গ্রেফতার এড়ানোর জন্য ফেরারি হঢ আত্নগোপন করে সেই ক্ষেত্রে আদালত ফৌজদারী আইনের 87 ধারা, পিআরবি-472 বিধি মতে 30 দিনের সমঢ দিয়ে নিদিষ্ট তারিখ ও সময়ে নিদিষ্ট স্থানে হাজির হবার জন্য  2 কপি ঘোষনাপত্র বা হুলিয়া ইস্যু করতে পারে।
  4. হুলিয়া জারি হওয়ার পরও যদি আসামি আদালতে অত্নসর্প্ণ না  করে সেই ক্ষেত্রে আদালত ফৌজদারী কার‌্যবিধি আইানের 88 ধারা, পিআরবি-474 বিধি মতে আসামির স্থাবর বা অস্থাবর উভয় প্রকারের ওয সম্পত্তি ক্রোকের মাধ্যমে উক্ত আসামিকে কোর্টে আত্নসমর্পণে বাধ্য করতে পারেন। 
  5. ফেীজদারী কার্বিধি আইনের 91 ধারা মোতাবেক আসনামির কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে আসামিকে আদালতে আত্নসমর্পণ করতে বাধ্য করতে পারেন।
  6. হুলিয়া ও ক্রোক আদেশ েএরপরও যদি আসামি আদালতে আত্নসমর্পণ না করে ফেরারি তাকে সে ক্ষেত্রে আদালত ফেীজদারি  কার্বিধি আইনের-339-খ ধারা মোতাবেক কমপক্ষে 2টি বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রের মাধ্যমে আসামিকে নির্ধারিত দিন, তারিখ ও সময়ে আদালতে হাজির হওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রদান করতে পারে। বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরও যদি আসামি আদালতের নির্দেশ পালনে ব্য্যর্থ হয় সেই ক্ষেত্রে আদালত আসামির অনুপস্থিতিতে বিচারকায্র সম্পাদন করবেন।

No comments

Powered by Blogger.