তল্লাশি পরোয়ানা বলতে কী বুঝেন? তল্লাশির আাগে, তল্লাশির সময় এবং তল্লাশির পরে কী কী নিয়ম পালন করতে হয়?

তল্লাশির ছবি
উত্তরঃ সন্দিগ্ধ কোনো বস্তু, জাল দলিল, চোরাইমাল, অশ্লীল বই অথবা কোথাও কেউ আটক আছে এতদসংক্রান্ত তথ্য আদালত জানতে পারলে আদালতৈর ওয কোনো ম্যাজিস্ট্রেট নির্ধারিত ফরমে লিখিতভাবে তার স্বাক্ষরসহ সিলমোহরযুক্ত অষ্কিত যে লিখিত আদেশ প্রদান করেন তাকে তল্লাশি পরোয়ানা বলে।
ফেীজদারী কাযবিধি আইনের ৯৬,৯৮,৯৯(ক) ১০০ ধারা [পিআরবি-২৮০ বিধি মোতাবেক]
 তল্লাশির আগে নিয়মঃ

  1. তল্লাশির পরোয়ানা াঅথবা মামলার কাগজপত্র সহ অভিযানকারী পুলিশ দল পোশাক পরিহিত অবস্থায় ওয স্থান তল্লাশি করা হবে অকুস্থলে উপস্থিত হবে।
  2. যেস্থান তল্লাশি করা হবে সেক স্থানটি ঘিরে ফেলতে হবে।
  3. 2 অথবা 3 জন আশেপাশের গন্যমান্য ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসেবে তলব করে উপস্থিত করতে হবে।
  4. যে স্থান তল্লাশি করা হবে তল্লাশির বিষয়ে সাক্ষীদের জানাতে হবে।
  5. পুলিশ সাক্ষীদের দেহ তল্লাশির করবেন এবং সাক্ষীদেরকে দিয়ে পুলিশের সকল সদস্যের দেহ তল্লাশি করিয়ে নিবেন।
তল্লাশির সময়ের নিয়মঃ
  1. সাক্ষীদের মোকাডেবলায় গৃহকর্তাকে তলব করে তার ঘর তলালাশি করা হবে সেই অভিপ্রায় জানাতে হবে। গৃহের কোনো লোক যেন বাইরে যেতে না পারে বা বাইরের কোনো লোক যেন অহেতুক ভিতরে আসতে না পারে সেই দিকে নজর রাখতে হবে।
  2. গৃহকর্তার উপস্থিতিতে সাক্ষীগণসহ ঘরের সন্দেহজনক প্রত্যেকটি জায়গা তন্নতন্ন করে তল্লাশি করতে হবে।
  3. তল্লাশি পরোয়ানাতে যে স্থান তল্লাশি করতে বলা হয়েছে সেই সকল স্থন তল্লাশি করতে হবে। [ফৌজদারী কাযবিধি আইনের-97 ধারা]
  4. গৃহে কোনো মহিলা অবস্থান করলে অপপর একজন মহিলা দ্ধারা সেটই মহিলার দেহ তল্লাশি করতে হবে। মহিলার প্রতি সৌজন্যমূলক আচরণ করতে হবে। প্রয়োজনবোধে তাকে অন্য রুমে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে। কোনো প্ররুষ যেন মহিলার বেশে পলায়ন করতে না  পারে সেই দিকে লক্ষ রাখতে হবে।
  5. তল্লাশির সময় মামলা বাদী বা সংবাদদাতাকে সাথে রাখ যাবে না।
তল্লাশির পরের নিয়মঃ
  1. তল্লাশির কালে যদি কোনো বস্তু বা দ্রদব্য বা কিচু পাওয়া গেলে সাক্ষীদের মোকাবেলায় সঙ্গে সঙ্গে 3 (তিন) কপি জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে জব্দ তালিকা সাক্ষীদের স্বাক্ষর নিতে হবে এবং মামলার, দ্রব্য বা বস্তু হেফাজতে গ্রহণ করতে হবে। (ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের 103(2) উপধারা, পিআরবি -২৮০ বিধি।
  2. গৃহকর্তা জব্দ তালিকা কপি দাবী করলে তাতে গৃহকর্তার স্বাক্ষর গ্রহণ করার পর গৃহকর্তাকে 1 কপি সরবরাহ করতে হব।
  3. জব্দকৃত বস্তহগু বা মালামলের উপর পুলিশ অফিসার নিজ হস্তে লিখে মামলার সূত্র ও মালের নামের লেবেল লাগাবেন। এরুপ প্রত্যেকটি লেবেলে উদ্ধারকারী অফিসার স্বাক্ষর দিবেন। সাক্ষীদের স্বাক্ষর নিবেন।
  4. জব্দকৃত মালামালসহ থানায় এসে ও.সি সাহেবকে অবগত করে তা জিডি-তে এন্ট্রি করাতেহ হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে উক্ত সম্পত্তি রেজিষ্টারে এন্ট্রি করতে হবে। থানার মাল খানা উক্ত মালামাল সংরক্ষণ করতে হবে। (পিআরবি-৩৭৯)
  5. জব্দ তালিকা প্রথম কপি একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে কোর্ট পুলি শ পরিদর্শকের মাধ্যমে প্রেরণ করতে হবে। 
পুলিশ আইনের-২৪ ধারা, পিআর বি-২১৩ বিধি মোতাবেক।
তল্লাশি ঃ  ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের-১০২,১০৩,১৬৫,১৬৬ ধারা ও পিআরবি-২৮০ বিধি। পুলিশ আইনের-২৩(৮) ধারা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ ধারা।

No comments

Powered by Blogger.